রবিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৫



আপনি শেয়ার কিনবেন। তা কি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কিনবেন?

আপনি শেয়ার কিনার সিদ্ধান্ত নিবেন ২টি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে।তা হলঃ- ১)মৌলিক বিশ্লেষণ। ২) কৌশলগত বিশ্লেষণ ।

মৌলিক বিশ্লেষণ কখন প্রয়োগ করবেন?
যখন আপনি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করবেন। আর-

কৌশলগত বিশ্লেষণ কখন প্রয়োগ করবেন?
যখন আপনি স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ করবেন।
মৌলিক বিশ্লেষণ কি?
যে কোম্পানির শেয়ার কিনবেন তার মৌল ভিত্তি বা অন্তর্নিহিত শক্তি সম্পর্কে জানার জন্য যে বিশ্লেষণ করা হয় ।

কৌশলগত বিশ্লেষণ কি?
বাজারের গতি প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে শেয়ার কিনা । এর সাথে কম্পানির অবস্থানের বা ভিত্তির সাথে কোন সম্পর্ক নাই ।

যেভাবে করবেন মৌলিক বিশ্লেষণঃ
এটা ৩ ভাবে করতে হয়ঃ১) দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবস্থার বিশ্লেষণ ।
২) যে কোম্পানির শেয়ার শেয়ার কিনতে যাচ্ছেন তা যে শিল্পের অন্তর্গত অর্থাৎ কোম্পানি ঔষধ বা সিরামিক বা যে শিল্পের আওতা ভুক্ত সে শিল্প খাতকে বিশ্লেষণ ।
৩) যে কোম্পানির শেয়ার কিনতে যাচ্ছেন তার বিশ্লেষণ ।


আজ এ পর্যন্তই।

শেয়ার বাজারঃ আপনার জন্য কিছু পরামর্শ

আপনি কি বাংলাদেশের শেয়ার বাজার এ বিনিয়োগ করতে চান? বন্ধু বান্ধব এবং অফিস কলিগদের কাছে শুনেছেন, শেয়ার ব্যবসায় শুধু লাভ আর লাভ, রাতারাতি কোটিপতি। আর দশটা ব্যবসার মতো এটাও একটা ব্যবসা, যাতে ঝুঁকি আছে। বর্তমানের বিনিয়োগকারীরা যে ভাবে বিনিয়োগ করে থাকে তাকে ট্রেডিং না বলে গ্যাম্বলিং বলাই ভাল। কিন্তু আসলেই কি শেয়ার ব্যবসায় গ্যম্বলিং? না শেয়ার ব্যবসায় গ্যাম্বলিং না বরং ইনভেষ্টমেন্ট, একটি বিজনেস। একজন সফল বিজনেসম্যান হতে হলে অবশ্যই আগে ব্যবসাটা সর্ম্পকে জানতে হবে। এটার পুরা আইডিয়া নিতে হবে। নিজের ব্যবসাটাকে প্রফিটেবল বানাতে চাইলে এবং লসের হাত থেকে বাচতে চাইলে অবশ্যই খুটিনাটি সব কিছু জানতে হবে।
তবে হতাশ হবার কিছু নেই। শেয়ার ব্যবসায় বুঝে শুনে টাকা খাটালে আসলেই যথেষ্ট পরিমান লাভ আছে। শেয়ার বাজারে পুঁজি বিনিয়োগ করে বিশাল লাভবান হবার কোন সুনির্দিষ্ট বা শর্টকাট পথ নেই। তবে নিচের পরামর্শগুলো মেনে চললে নিঃসন্দেহে আপনি লাভবান হতে পারবেন।
বাংলাদেশের শেয়ার বাজার

শেয়ার বাজার এ বিনিয়োগের আগে বিবেচ্য বিষয়। 

১. বাবসায়িক শিক্ষঃ যখনি আপনি একজন শেয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে দেখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখনি আপনাকে শেয়ার ব্যবসায় বা শেয়ার বাজার সর্ম্পকে এডুকেটেড হতে হবে। নিজেকে যুদ্ধক্ষেত্রে টিকার জন্য নলেজ এর অস্ত্রে সু-সজ্জিত হতে হবে। জানতে হবে এটির আদ্যোপান্ত, মার্কেট এর সকল ফ্যাক্টর এবং নিজেকে আপটুডেট রাখতে হবে সবসময়- বিশেষ করে দেশের ইকোনোমিক এবং পলিটিকাল বিষয়। প্রথমেই মনে রাখবেন, শেয়ার ব্যবসা কোন জুয়া খেলা নয়। এখানে ব্যবসার কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। রয়েছে কিছু সুনির্দিষ্ট গানিতিক হিসাব। আপনি যদি কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ডের হন তবে এই গুলি বুঝতে আপনার খুবই সুবিধা হবে। আর আপনি কমার্সের স্টুডেন্ট না হলেও খুব একটা সমস্যা নেই। বাজারে এখন শেয়ার বাজার এর উপর অনেক বই পত্র পাওয়া যায়। এগুলি পড়ুন, বোঝার চেষ্টা করুণ। শেয়ার বাজার এর উপর ইন্টারনেটেও অনেক লেখা পাওয়া যায়, প্রতিনিয়ত পড়ুন এবং বুঝুন।
২. প্রতিদিন কিছু পড়াসুনা করুন এবং মার্কেট এর সাথে তা মিলিইয়ে দেখুন, মার্কেট মুভমেন্ট গুলো বোঝার চেষ্টা করুন। কিছুদিন পড়াশুনার পর যদি দেখেন বুঝতে সমস্যা হচ্ছে তবে সিকিউরিটি এক্সচেন্জ কমিশন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেন্জ এর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ গ্রহণ করতে পারেন। এই গুলির খরচ অনেক কম। নিঃসন্দেহে উপকার পাবেন। তাছাড়া অনেক এক্সপার্ট আছেন বাংলাদেশে, তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে অনেক ফি দিয়ে কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রয়োজন নেই।
৩. এবার ভাল একটি স্ট্রাটেজি তৈরি করে সেটাকে ধরে নিজে নিজে সাইলেন্ট ট্রেড করুন। তার মানে আজকে একটা শেয়ার আপনার স্ট্রাটেজি অনুযায়ী কি হওয়া উচিৎ তা চিন্তা করুন এবং তার ফলাফল পরিমাপ করুন। তেমনি স্ট্রাটেজি টেষ্ট এর সময়ই আপনাকে ট্রেড ম্যানেজমেন্ট শিখতে হবে। রিস্ক – রিওয়ার্ড জানতে হবে। কখনো লসে চলে গেলে কি করবেন সেসব বুঝতে হবে। টেকনিক্যাল আর ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করে ট্রেড নিতে হবে। অনেক সময় আপনার স্ট্রাটেজিতে ট্রেড নেবার সময় আসলেও মার্কেট এনালাইসিস করে দেখতে পাবেন আপনার স্ট্রাটেজিতে এখন ট্রেড নেয়াটা রিস্কি হয়ে যাচ্ছে। তখন ট্রেড থেকে বিরত থাকতে হবে। অথবা ট্রেড দিয়ে ফেললেও সেটাকে ম্যানেজিং করতে হবে। একটা গুরুত্ত পূর্ণ বিষয় হল অন্য কাউকে দেখে শেয়ার কেনাবেচা করবেন না। প্রত্যেকের পোর্টফোলিও ভিন্ন হয়। কোন একজন যে কারণে শেয়ার কিনছেন বা বিক্রি করছেন তা হয়তো আপনার কারণের সাথে মিলবে না।

৪. বাজারের কোন গুজবে কান দিবেন না। শেয়ার বাজার যখন ভাল থাকে তখন প্রচুর গুজব শুনা যায়।  আমার পরামর্শ হলো গুজবে কাননা দিয়ে খুবই ছোট আকারে শুরু করুন। আস্তে আস্তে প্রফিট করুন। খুব কম প্রফিট টার্গেট হলে রিস্কটাও খুব কম হয়। ওমুক কোম্পানী ১:৩ রাইট শেয়ার দিবে, তমুক কোম্পানী ৩০০% বোনাস দিবে, আর এক কোম্পানী ৬০০% ক্যাশ দিবে এ জাতীয় গুজবে কান দিবেন না।
৫. অনেকেই আছেন যারা বিও একাউন্ট কোন মার্চেন্ট ব্যাংক এ খুলে সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করে ২ গুন লন নিয়ে ট্রেড শুরু করেন। নতুন ব্যবসায় নামার অন্তত এক বছর ঋণ কোডে শেয়ার কিনবেন না। আগে ব্যবসাটা ভাল করে বুঝে শুনে তারপর ইচ্ছা হলে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনার নিজের টাকায় লস হলে আপনার কিছু ক্ষতি হবে। কিন্তু ব্যাংক কখনোই লস নেয়না। বাংকের টাকায় শেয়ার কিনে লস হলে ব্যাংক আপনার মূল টাকা থেকেই লস সমন্বয় করবে। তখন একটা শেয়ার এর দাম কমে গেলে ব্যাংক আপনার শেয়ার ফরসড সেল করে দিয়ে তার টাকা নিয়ে নিবে আর আপনার একাউন্ট শুন্য হয়ে যাবে। হায় হায় করা ছাড়া আপনার আর কোন গতি থাকবে না। ধরা যাক, আপনি ‘কখগ’ কোম্পানীর শেয়ার ৫০ টাকায় ১ টি শেয়ার কিনলেন। পরবর্তীতে মূল্য কমে যাওয়ায় আপনি সেই শেয়ার ৩০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হলেন। আপনার ক্ষতি হলো, ( ৫০-৩০ )=২০ টাকা। কিন্তু আপনি যদি ঋণ কোডে ব্যবসা করতেন, তাহলে হয়তো ৫০ টাকায় আরও ৫০ টাকা, মোট ১০০ টাকার শেয়ার কিনতে পারতেন। তখন আপনার ক্ষতি হতো ( ৫০ – ৩০ ) * ২ = ৪০ টাকা। এরপরও আছে শেয়ার কেনাবেচার কমিশন এবং ঋণের সুদ। যা আপনার ক্ষতির পরিমান আরও বারিয়ে দিবে। সুতরাং যত আকর্ষণীই মনে হোক না কেন নতুন বিনিয়োগকারীদের মার্চেন্ট ব্যাংকের ফাঁদে পা না দিয়ে লন করে শেয়ার বাবসা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। মানি ম্যানেজমেন্ট সম্পরকে জানুন। 

৬. ভাল মৌল ভিত্তি সম্পন্ন শেয়ার ক্রয় করুণ।  যদিও এটা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক আছে। কারণ বিগত ৫/৭ বছরে দেখা গেছে ভাল মৌল ভিত্তি সম্পন্ন শেয়ারের চাইতে আজে বাজে শেয়ার, এমনকি কোম্পানীর অস্তিত্ব নেই, কোন লভ্যাংশ দেয়না, এমন সব শেয়ারের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এ বিসয়ে একটা গল্প বলি, ঠিক গল্প নয় সত্যি ঘটনা,শেয়ার মার্কেট এ ট্রেডিং শেখায় এমন বহু প্রতিষ্ঠান আগে বাংলাদেশে ছিল, অবশ্য এখন তারা হারিয়ে গেছে, তো একবার এমন এক নাম করা ট্রেনিং সেন্টার এর আমন্ত্রনে সেখানে গেস্ট লেকচারার হিসাবে গল্প করতে গিয়েছিলাম। আমি যখন ক্লাসে প্রবেশ করলাম তখন ঠিক পেছনের সিট থেকে এক মাঝ বয়সি লোক দাড়িয়ে আমাকে প্রশ্ন করলেন, ভাই! ফান্ডামেন্টাল শেয়ার কি? আমি ক্লসে ঢুকেই এই জাতীয় প্রশ্ন শুনে একটু অবাক হলাম। পরে বুঝতে পারলাম সারাদিন রেডিও, টেলিভিশনে ফান্ডামেন্টাল শেয়ার এর নাম শুনতে শুনতে হয়তো তার এই আগ্রহ তৈরি হয়েছে এবং শুধুমাত্র এটা শেখার জন্যই আজকে এসেছেন। প্রশ্নের উত্তরে আমি উনাকে বললাম আপনার প্রশ্নের মধ্যই আপনার উত্তর লুকিয়ে আছে। উনি বুজতে পারলেন না। আমি বললাম, ফান্ডামেন্টাল শব্দটা আস্তে আস্তে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বলেন উত্তর পেয়ে জাবেন।

উনি বললেন ফান্ডা-মেন্টাল, আমি বললাম আরও আস্তে বলেন, তারপর বললেন ফান-ডা- মেন্টাল।
হা! এটাই সঠিক উত্তর! তার মানে হল যে শেয়ারে ফান্ড দিয়ে বা ফান্ড ইনভেস্ট করে আপনি মেন্টাল হয়ে জাবেন তাকেই ফান্ডামেন্টাল শেয়ার বলে।

 প্রসংঙ্গেও বলা যায়, এগুলি বাড়ার পেছনে বিনিয়োগকারীদের অজ্ঞতাই দায়ী। তাই আজেবাজে শেয়ার না কিনে ভাল মৌল ভিত্তি সম্পন্ন শেয়ার কিনুন। তাহলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় পথে বসবেন না বরং খুব ভাল লাভই পাবেন। ভাগ্যের উপর নির্ভর করা থেকে শেয়ার বাবসার এর ভিবিন্ন দিক নিয়ে শিক্ষা গ্রহন ও এনালাইসিস আপনাকে আরও ভালো এবং consistant প্রফিট পেতে সহায়তা করবে। ইমশন কন্ট্রোল করতে শিখুন । নিজেকে কখনই ইমশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে দিবেন না। ইমশন কে নিয়ন্তন যারা করতে পারবে না তারা প্রফিট কে দেখবে হুর হুর করে নিচে নামতে এবং লস কে দেখবে হুর হুর করে উপরে উঠতে। যেকোনো স্ট্রেটাজির ক্ষেত্রেই একসাথে একসাথে অনেক প্রফিট করতে যাবেন না। মানি মেনেজ মেন্ট এর সাহায্য নিয়ে ধিরে ধিরে আগান। তাহলে শেয়ার বাবসায় এর যেকোনো ঝড় মুকাবেলা করতে আপনি সক্ষম হবেন। এই সম্পর্কিত একটা বিস্তারিত আর্টিকেল পড়ুন এখানে। 

৭. শেয়ার বাবসার খুঁটিনাটি সকল বিসয়ই বোঝার চেষ্টা করুণ। নগদ টাকা দিয়ে ব্যবসা করবেন আর কিছু বুঝতে চাইবেন না, এর চাইতে আহম্মকি আর কি হতে পারে? বোঝার সবচেয়ে সহজ পথ হলো প্রতিনিয়ত আপডেট থাকা। চোখ কান খলা রাখা। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের প্রথম দিকে এই সম্পর্কিত লেখা লেখিতে, পত্র পত্রিকাতে প্রচুর সময় দিন। সব সময় ডিএসই এর এবং ট্রেডিং সম্পর্কিত আরও অনেক ওয়েবসাইটে নজর রাখুন এবং সমস্ত ইনফরমেশন এ চোখ বুলান। প্রথম দিকে এটা খুব কঠিন মনে হতে পারে, অনেক যামেলার মনে হতে পারে। কিন্তু বছরখানেক গেলেই দেখবেন আর অত সময় দিতে হবে না, অল্পতেই বুঝতে পারবেন।

৮. অন্নের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে কখনোই শেয়ার ব্যবসায় নামবেন না। মনে রাখবেন এই ব্যবসা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনিশ্চিত। আমি মনে করি, যে টাকা হারিয়ে গেলে, চলে গেলে বা নষ্ট হলে আপনার কস্ট লাগবে না সেই টাকাই শেয়ার ব্যবসায় এ ইনভেস্ট করা উচিৎ। বাপের জনি বেছে, মায়ের গহনা বেচে, কস্টের জমানো টাকা শেয়ার ব্যবসায় বা শেয়ার বাজার এ ইনভেস্ট করা কখন ই  উচিৎ নয়। এখানে যেমন প্রতি তিন দিনে লাভের সম্ভাবনা আছে, তেমনই প্রচুর ঝুঁকিও রয়েছে। তাই ব্যাংক লোন নিয়ে, জমি বিক্রি করে, অন্যের থেকে টাকা ধার করে, অলংকার বা ফ্ল্যাট বন্ধক রেখে কখনোই শেয়ার ব্যবসায় নামবেন না।

৯. প্রতিদিন লাভ হোক বা লস সবসময় সেটায় ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করে রাখুন। কেন প্রফিট হলো কেন লস হলো সব লিখে রাখুন, তাহলে আপনার লস বা প্রফিটের কারণগুলার রেকর্ড থাকবে। আর সব সময় সব জান্তা লোকজন থেকে দূরে থাকুন। শেয়ার মার্কেটে এমন অনেক লোক দেখা যায়, যারা প্রচুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলে। প্রকৃত অর্থে তারা ৩/৪ বছর ব্যবসা করেও তেমন কিছু লাভ করতে পারে না। যারা গেম্বলার তাদের জন্য উপযুক্ত স্থান হল CASINO. আর শেয়ার ব্যবসায় হল তাদের জন্য যারা ইনভেস্টমেন্ট এ আগ্রহি এবং তা থেকে ছোট পরিমাণ প্রফিট পেয়েই খুশি হবে।  সুতরাং  এই ধরণের লোকজন থেকে কম করে হলেও ১০০ হাত দূরে থাকুন।

১০. একটা ভালো ব্রোকার এ ট্রেড করুন। নিজের স্ত্রেটেজির জন্য উপযুক্ত একটি ব্রোকার নির্বাচন করুন। বিশ্বস্ত এবং বড় সিকিউরিটি হাউজ বা বড় বিশ্বস্ত ব্যাংকে বেনিফিশিয়ারি অ্যাকাউন্ট বা বিও খুলতে পারেন। এখানে ভাল সুযোগ-সুবিধা আশা করা যায়, এবং ব্যবহারও নিঃসন্দেহে ভাল পাবেন। ফোনে ট্রেড করা, অনলাইন ট্রেডিং করা সহ আপনার জমা ও উত্তলনের সময় ও অনেক গুরুত্তপুরন। ভালো ব্রোকার এর আর একটা বড় সুবিধা হল কোন দূর্ঘটনা ঘটলে আশা করা যায় যে তারা আপনার টাকা মেরে খাবে না। আর হ্যা, নমিনি করতে কখনোই ভুল করবেন না। কারন মানুষের জীবন মৃত্যুর কথা কিছু বলা তো যায় না ! আর আপনার মোবাইল নাম্বার এবং অ্যাড্রেস উপ টু ডেট রাখুন।


উপরের এই পরামর্শগুলি নতুন বিনিয়োগকারীরা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। আশাকরি শুভ ফলাফলই পাবেন। স্টক মার্কেটে আপনার যাত্রা শুভ হোক, অনেক বেসি লাভবান হোক এই প্রত্যাশা রইল।

ঢাকা শেয়ার বাজার – সেন্টিমেন্টাল এনালাইসিস

আমরা সাধারনত স্টক এনালাইসিস এর ক্ষেত্রে দুটি এনালাইসিস নাম শুনে থাকি।
১। ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস
২। টেকনিকেল এনালাইসিস।
কিন্তু আজ আমি আপনাদের আর একটা পদ্ধতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। যেটা একেবারেই আমার নিজের তৈরি টেকনিক। আমি এই অ্যানালাইসিসের নাম দিয়েছি ইনভেস্টর মাইন্ড এনালাইসিস।(এটা অনেকটা টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের মতই) যেহেতু এটা একটা নতুন ধরনের এনালাইসিস তাই আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আমি কিছু বিষয় নিয়ে একটু আলোচনা করব।
যারা শেয়ার বিজনেসে নতুন আশে তারা টেকনিক্যাল বা ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস বোঝেন না তারা সুধু বোঝে (টি-৩ আইটেম) ৪-১০ দিনে জন্য ইনভেস্ট করে প্রফিট নেয়া। তারা চিন্তা করে আমি যেদিন থেকে শেয়ার কিনব সেদিন থেকেই দাম বাড়া শুরু করবে। তাদের এই ধারনা আশার করন হল, নতুন বিনিয়োগ কারি তখনই বিনিয়োগ করে যখন বুলিশ মার্কেট থাকে।তখন তার বুঝে না বুঝে যে শেয়ারই ইনভেস্ট করে সেটারই দাম বাড়তে থাকে এবং এটা দেখে তারা তাদের পুজি আর বাড়ায়।কিন্তু বাস্তবতা হল মার্কেট এভাবে বেশী দিন চলতে পারেনা।যথারিতি মার্কেট যখন কারেকশন শুরু হয়, তখন ঐ যে নতুন যারা না বুঝে ইনভেস্ট করেছিল তারা মাথায় হাত দিয়ে হা-হুতাস করতে থাকে। তারা টি-৩ তে যা প্রফিট করে ছিল মার্কেট কারেক্শনের কারনে তার আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না।তখন তারা অস্থির হয়ে একটা ছেড়ে আর একটা কিনতে থাকে এতে তারা আরও লস করতে থাকে। কিন্তু তারা যদি স্থির হয়ে বসে থাকত তাহলে অল্প কিছুদিনের মাঝেই লস টা কাটিয়ে উঠতে পারত।আমার মাইন্ড এনালাইসিস টেকনিক এ ঐ সকল ইনভেস্টর দের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
৫-১০ দিনের জন্য ইনভেস্ট করাকে আমি শেয়ার বিজনেস বলিনা এটা হল লটারি অথবা গেইম খেলা। কিন্তু শেয়ার বিজনেস লটারি কিংবা গেইম খেলার জায়গা না। এখানে মেধা দিয়েই বিজনেস করতে হয়। একটা কথা মনে রাখবেন, না বুঝে ইনভেস্ট করে হয়ত আপনি সাময়িক ভাবে লাভবান হতে পারবেন কিন্তু Long Term এ এটা কখনও ই ভালহতে পারেনা। আমি কখনও ই এই গেইম টাকে সাপোর্ট করিনা। কিন্তু তারপর্ ও আমাকে মাঝে মাঝে এই গেইম এ অংশ গ্রহন করতে হয় কারন এটা বাংলাদেশি শেয়ার বাজার এখানে FA/TA সব সময় কাজ করেনা। ইনভেস্টমেন্ট সাধারনত তিন ধরনের হয়ে থাকে…
১। Long term (FA) TA News Mind
২।Mid term (FA/TA)
৩।Short term (TA)
কিন্তু আমার এনালাইসিস অনুযায়ি আর ২টা আইটেম যোগ করতে চাই
৪। Short term-২ (News)
৫। Short term-৩ (Mind Analysis)

 

যে শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ ।



এই কৌশলটি বিনিয়োগকারী ও ডে-ট্রেডার উভয় শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের জন্য প্রযোজ্য। একজন বড় মাপের শেয়ার ব্যবসায়ী যদি হতে চান আপনাকে কম সময়ে বেশী লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আর্থিক ঝুঁকির মাত্রাও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে এমন শেয়ার চিহিৃত করতে হবে। নিম্ন লিখিত বিষয়সমূহের আলোকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার সমূহ কে বিবেচনার বাহিরে রাখতে পারেন।
১.যে শেয়ার সমূহের দাম সাধারণত বেশী হারে হ্রাস বৃদ্ধি হয় না।
২. যে শেয়ার সমূহ র্দীঘ দিনের ব্যবধানে লেনদেন হয়।
৩. যে শেয়ার সমূহ অতিমূল্যায়িত।
৪. এক সময়ের জনপ্রিয় শেয়ার কিন্তু বর্তমানে ঐ শেয়ারের চাহিদা নেই বা দরের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে না অথবা সন্তোষজনক লভ্যাংশও অন্যান্য প্রাপ্তির সম্ভাবনা নেই এমন শেয়ার।
৫. যে শেয়ার সাম্প্রতিক সময়েও লাভজনক ছিল কিন্তু ভবিষ্যতে লাভ অর্জনের সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে।
৬. যে শেয়ারসমূহের দাম সাধারণত বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় এবং সেই সময় আসতে এখনও অনেক দেরী।

শেয়ার ক্যাটাগরী



ভাল শেয়ার কিভাবে চিনবেন তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি শেয়ার ক্যাটাগরী সম্বন্ধে লিখবো। আমার আগের লেখায় (কিভাবে ভাল শেয়ার নির্বাচন করবেন ?) বলেছিলাম ৫টি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ভাল শেয়ার নির্বাচন করার জন্য। ঔ পাঁচটির মধ্যে একটি হচ্ছে ক্যাটাগরী।
শেয়ার বাজারে মোট পাঁচ ক্যাটাগরীর শেয়ার আছে। ক্যাটাগরী গুলো হচ্ছে :
১। ক্যাটাগরী-এ (A)
২। ক্যাটাগরী-বি (B)
৩। ক্যাটাগরী-জি (G)
৪। ক্যাটাগরী-এন (N)
৫। ক্যাটাগরী-জেড (Z)

ক্যাটাগরী-এ :

যে সব কোম্পানী মিয়মিত বার্ষিক সাধারন সভা (AGM) করে এবং নূন্যতম ১০% বা তার চেয়ে অধিক হারে লভ্যাংশ প্রদান করে সে কোম্পানীর শেয়ার এ ক্যাটাগরীর।

ক্যাটাগরী-বি:

যে সব কোম্পানী নিয়মিত সাধারন সভা (AGM) করে কিন্তু ১০% এর কম হারে লভ্যাংশ প্রদান করে সে কোম্পানীর শেয়ার বি ক্যাটাগরীর।

ক্যাটাগরী-জি:

যে সকল কোম্পানী এখনো তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেনি সে কোম্পানীর শেয়ার জি ক্যাটাগরীর।

ক্যাটাগরী-এন:

শেয়ার বাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারকে এই শ্রেনীতে রাখা হয়। (জি ক্যাটাগরী ব্যাতিত) এবং বার্ষিক সাধারনসভা ও লভ্যাংশ প্রদানের উপর ভিত্তি করে তাকে অন্য ক্যাটাগরিতে নেয়া হয়।

ক্যাটাগরী-জেড:

যে সকল কোম্পানী নিয়মিত বার্ষিক সাধারন সভা (AGM) করে না। লভ্যাংশ প্রদান করতে ব্যার্থ পুঞ্জিভুত লোকসান সঞ্চিত মুনাফাকে ছাড়িয়ে যায়। ৬মাস বা তার বেশী সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ। সে কোম্পানীর শেয়ার জেড ক্যাটাগরীর।
কোন শেয়ার কোন ক্যাটাগরীর তা জানতে এখানে ভিজিট করুন শেয়ার 
আশাকরি বুঝতে পারছেন কোনটা ভাল কোম্পানীর শেয়ার। তবে শুধু ক্যাটাগরীর উপর নির্ভর করে ভাল শেয়ার নির্বাচন করা ঠিক হবে না। এর জন্য আরো রয়েছে :
১। শেয়ার প্রতি আয় (earnings per share: EPS)
২। প্রতি শেয়ারে মুনাফা প্রদান (dividend per share: DPS)
৩। মুল্য-আয় অনুপাত (price earning ratio: P/E)
৪। মুনাফা অর্জনের হার (Dividend yield) ইত্যাদি।
আমার আগের লেখাগুলোতে বলেছিলাম শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে হলে আপনাকে কি কি করতে হবে। নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে আপনি পুরোপুরি প্রস্তুত বিনিয়োগের জন্য।
মানসিক প্রস্তুতি
শুরু করার পূর্বে বড় করে একটা শ্বাস নিন এবং নিজেকে সাহস দিন, যেন যেকোন পরিস্থিতিতে ভেঙ্গে না পড়েন। হার্টটাকে শক্ত করুন। ধের্য্যশীল হোন। এগুলো যদি না থাকতো তাহলে ১৯৯৬ সালে আমার একটা শেয়ার যখন ২৪৮ টাকা থেকে মাত্র ৩৪ টাকায় নেমে এসেছিল তখন আমার অবস্থাটা একটু চিন্তা করে দেখুন? নো রিসক নো গেইন।
ভাল শেয়ার কিনুন
ভাল শেয়ার কিনুন-এই উপদেশটা সবাই দেয়, ডিএসই’র চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে বাজারের কনিষ্ঠতম বিনিয়োগকারী। কিন্তু ভাল শেয়ার বুঝবো কিভাবে ? ভাল একটি আপেক্ষিক শব্দ। একজনের কাছে যা ভাল অন্য জনের কাছে তা নাও হতে পারে। যদি নির্দিষ্ট করে বলাই যেত উমুক শেয়ার সবচেয়ে ভাল তাহলেতো সবাই ঐ নির্দিষ্ট শেয়ারই কিনতো। তাই ভাল শেয়ার নির্বাচন করতে হবে আপনাকে।
কিসের উপর নির্ভর করে ভাল শেয়ার নির্বাচন করবেন ?
১। ক্যাটাগরী (Category)
২। যেমন শেয়ার প্রতি আয় (earnings per share: EPS)
৩। প্রতি শেয়ারে মুনাফা প্রদান (dividend per share: DPS)
৪। মুল্য-আয় অনুপাত (price earning ratio: P/E)
৫। মুনাফা অর্জনের হার (Dividend yield) ইত্যাদি।

শুক্রবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৫

গুগলিং করুন ট্রিক্স খাটিয়ে। অযথা টাইম নষ্ট না করে এখনই ট্রিক্সগুলো জেনে নিন।

 
 
ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন কিন্তু গুগলে সার্চ করছেন না কিংবা প্রয়োজনীয় সাইট কিংবা তথ্য পেতে গুগলের দারস্ত হতে হয়না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর। অনেকেই গুগলের নাম জানেন, কাজও করেন কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার না জানার কারনে প্রয়োজনীয় বিষয়টি খুজে পেতে অনেক বেগ পোহাতে হয়। যেমন আপনার হয়তো এ মূহুর্তে অষ্ট্রেলিয়ার সময় জানা দরকার, Australia local time লিখে সার্চ দিচ্ছেন, হয়তো প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েও যাবেন। জানেন কি, আরো ছোট করে time Australia লিখে সার্চ দিলে আরো ভাল ফলাফল পাবেন!!!
তাছাড়া সময়ও বাঁচবে।
চলুন দেখে নিই গুগল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে কার্যকরীভাবে সার্চ করবার কিছু টিপস এবং কম সময়ে কিভাবে প্রয়োজনীয় সাইট কিংবা তথ্য খুজে পেতে পারিঃ
প্রথমেই শুরু করছি fill in the blanks বা শুন্যস্থান পূরণ সার্চ দিয়ে।
ধরুন আপনি একটি শহরের নাম জানেন(Alabama) কিন্তু সেটা কোথায় অবস্থিত সেটা জানেন না। গুগলে গিয়ে লিখুন alabama is located in (*), মানে শুন্যস্থানে ব্র্যাকেটের মাঝে ষ্টার দিয়ে দিন। নিজেই চেষ্টা করে দেখুন উত্তরটা কিভাবে আসে।
তারপর ধরুন একটি নির্দিষ্ট সাইটের ভেতরে আপনি সার্চ করতে চাচ্ছেন, কিভাবে করবেন?
[সার্চ query site:sitename] এই নিয়মে এ সার্চ করলে নির্দিষ্ট সাইটের ভেতর থেকে আপনার কাঙ্খিত ফলাফলটি বের করে আনতে পারবেন। যদি mediafire site:earntricks.com লিখে সার্চ দিন, গুগল আর্নট্রিক্স ওয়েব সাইট থেকে শুধুমাত্র mediafire শব্দটির সার্চ রেজাল্ট দেবে। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন ডোমেইন থেকে সার্চের রেজাল্ট চান, তাহলে এইভাবে টাইপ করুন mediafire site:.bd। এ ক্ষেত্রে mediafire লিখাটি শুধুমাত্র যে সমস্ত .bd ডোমেইনের সাইট আছে সে সমস্ত সাইটকে সার্চ রেজাল্টে দেখাবে।
সাইটের টাইটেল অথবা সাইট টেক্সটে খোজাঃ
[intitle:সার্চ query] অথবা [intext:সার্চ query] এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে আপনার কাংখিত শব্দটি ওয়েবসাইট টাইটেল অথবা সাইটের ভেতরের টেক্সট থেকে বের করে দেবে।
যেমনঃ intitle:free lynda tutorial লিখে সার্চ দিলে, যেসব ওয়েব সাইটের টাইটেলে free lynda tutorial কথাটি আছে, সেসব সাইটকে রেজাল্টে দেখাবে। অন্যদিকে, intext: lynda tutorial লিখে সার্চ করলে, যেসব ওয়েব সাইটের ভেতরের টেক্সটে (টাইটেলে নয়) lynda tutorial কথাটি আছে, সেসব সাইটকে রেজাল্টে দেখাবে।
কোন নির্দিষ্ট সাইটের লিঙ্ক কোন কোন সাইটে ব্যবহার করা হয়েছে জানা দরকার?
[link:url] এই সিনট্যাক্সের মাধ্যমে কাজটি করতে পারবেন। শুধু url এর জায়গায় আপনার কাংখিত সাইটের url টি দিয়ে সার্চ দিন। যেমনঃ link:desteaminstitute.com লিখে সার্চ করলে যে সমস্ত সাইটে desteaminstitute.com এর লিঙ্কটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা রেজাল্ট হিসেবে দেখাবে।
আপনার পছন্দের সাইটের মত আর কি কি সাইট আছে জানা দরকার?
ধরুন প্রিয় কোন সাইটে বাংলা খুজছেন কিন্তু পেলেন না, সেক্ষেত্রে এমন আর একটি সাইট খোজার প্রয়োজন হল যেটা আপনার প্রিয় সাইটের এর মত টিউটোরিয়াল শেয়ার করে, তাহলে পরিচিত সাইটটির আগে লিখুন related:
যেমনঃ related:prothom-alo.com লিখে সার্চ দিলে গুগল বাংলাদেশের অন্যান্য অনলাইন নিউজপেপার সাইটের সার্চ রেজাল্ট দেবে।
আপনি জানেন, গুগলকে ক্যালকুলেটর হিসেবেও ব্যবহার করা যায়!!!
যে হিসাবটি করতে চান তা যথাযথভাবে সার্চ বক্সে লিখতে হবে। উদাহরণস্বরূপঃ 2 + 3
3*2+1
sqrt 9
sin 90 + log 10
লিখুন, সার্চ করুন, দেখুন কি রেজাল্ট আসে।
কোন নির্দিষ্ট শব্দের সমার্থক শব্দ দরকার?
গুগলে নির্দিষ্ট শব্দের আগে (~) টিলড চিহ্নটি বসিয়ে সার্চ দিলে সমার্থক শব্দ পেয়ে যাবেন। যেমনঃ ~gorgeous লিখে সার্চ দিয়ে দেখুন তো, কতগুলো সিনোনিম খুজে পাওয়া যায়।
ফিচারটির নাম সিনোনিম সার্চ।
কোন কিছুর সংজ্ঞা পেতে:
আপনি যদি কোন শব্দের সংজ্ঞা পেতে চান তবে কোলন দিয়ে লিখুন।
উদাহরণ: define:plethora
সুনির্দিষ্ট ফাইল টাইপঃ
ফাইলের ধরন সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব গুগল সার্চে। যেমন: filetype:pdf ফলাফলে সব পিডিএফ ফাইল দেখা যাবে। একইভাবে .ppt (পাওয়ার পয়েন্ট ফাইল), .doc (মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইল), .swf (ফ্ল্যাশ প্লেয়ার ফাইল)সহ আরো অনেক ধরনের ফাইলের ধরন নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব।
আবহাওয়া সার্চঃ
ঠিক টাইম সার্চের মতই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার আবহাওয়া পূর্বাভাস জানতে গুগল সার্চ ব্যবহার করুন। লিখুন weather:[place/city] অথবা weather [place/city]। যেমনঃ লিখুন ও সার্চ করুন weather:Dhaka অথবা weather:Geneva। এখানে শহর বা জায়গাটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ হতে হয়।
সর্বশেষ আকর্ষনীয় টিপস,
পাইরেটেড ডাওনলোডঃ
প্রয়োজনীয় বই বা টিউটোরিয়ালের ফ্রি ডাওনলোড লিঙ্ক পাচ্ছেন না? কোন সমস্যা নেই। সেই বই বা টিউটোরিয়ালের নামের শেষে একটা স্পেস দিয়ে warez লিখে সার্চ দিন, দেখুন কত কত পাইরেটেড ফ্রি ডাওনলোডের লিঙ্ক চলে আসছে।
আশা করি পরবর্তী সময়ে গুগল সার্চ করতে টিপসগুলো আপনাদের কাজে আসবে। আজ এ পর্যন্তই, ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।

সোমবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৫

শেয়ার ব্যবসা কিভাবে শুরু করব? বিও একাউন্ট কি? এটি কিভাবে খোলে।

শেয়ার ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটি BO account খুলতে হবে। ব্রোকার হাউস থেকে BO account খুলতে হয়। শেয়ার যেখানে বসে কেনা বেচা হয় তাকে ব্রোকার হাউস বলে। আপনি আপনার এলাকার বা আপনি যেখান থেকে ব্যবসা করতে চান সেরকম একটি ব্রোকার হাউসে গিয়ে BO account খুলতে পারবেন। আপনি single অথবা joint account খুলতে পারবেন। ব্রোকারকে বললে আপনাকে তারা একটি ফর্ম দিবে। ঐ ফর্মটি পুরণ করে তাদের কাছে দিতে হবে। সাথে দিতে হবে

১। ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
২। আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট ( যে ব্যাংকে আপনার একাউন্ট আছে ঐ ব্যাংকে গিয়ে চাইলেই আপনাকে তারা স্টেটমেন্টটি দেবে।
৩। একজন নমিনির ছবি।
৪। আপনার ভোটার আইডির ফটোকপি।
বিভিন্ন ব্রোকার বিভিন্ন ডকুমেন্ট চেতে পারে। তাই তাদের কাছ থেকে ঠিকভাবে সবকিছু জেনে নিন। BO account খোলার জন্য ব্রোকাররা ৫০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত চার্য করে থাকে।

Lot কি?

শেয়ার কিনতে হলে আপনাকে লট হিসেবে কিনতে হবে। বিভিন্ন কম্পানির লট সংখ্যা বিভিন্নঃ

 যেমন উপরের কম্পানিটি লক্ষ্য করলে দেখবেন যে এর মার্কেট লট (লাল দাগ দেয়া) ৫০০। এর অর্থ আপনি যদি এই কম্পানির শেয়ার কিনতে চান তবে আপনাকে একবারে ৫০০ টি শেয়ার কিনতে হবে। এই কম্পানির last trade price 55. তাই ৫০০ টি শেয়ারের দাম হবে ৫০০*৫৫=২৭৫০০ টাকা। আপনি যদি বেশি শেয়ার কিনতে চান তবে লটের গুনিতক হারে অর্থাৎ ৫০০/১০০০/১৫০০ এভাবে কিনতে হবে।



আবার এই কম্পানিটি লক্ষ্য করুন। এর মার্কেট লট ৫ টি। তাই আপনি যদি এই শেয়ার কিনতে চান তবে আপনাকে ৫/১০/১৫ এভাবে কিনতে হবে। আশা করি লট কি তা এখন বুঝতে পেরেছেন।

শেয়ার মার্কেটের বিভিন্ন শেয়ারের দাম কিভাবে পড়ব ?



শেয়ার মার্কেটের বিভিন্ন কম্পানির শেয়ারের দাম ডিএসইর ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।এখানে বিভিন্ন কম্পানির শেয়ারের দামের বিবরণ উপরের ছবির মত দেয়া থাকে। আসুন এবার শিখে নেই কিভাবে এই তথ্য গুলো পড়বঃ-
১। Last Trade: এই কম্পানির লাস্ট ট্রেড কত টাকায় হয়েছে। দেখা যাচ্ছে এই কম্পানির একটি শেয়ারের দাম সর্বশেষ ৩৩২.৪০ টাকায় হয়েছে।
২। Day's range: ঐ দিনে ঐ কম্পানির একটি শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যা। দেখা যাচ্ছে ঐ দিনে এই কম্পানিটির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩৩৮ টাকা ও সর্বনিম্ন ৩২৯.৭ টাকা।
৩। Open price: যেইদিনের দাম দেখান হচ্ছে সেইদিনে ঐ কম্পানির শেয়ারের দাম কত দিয়ে শুরু হয়েছে।
৪। Yesterday close: যেইদিনের দাম দেখান হচ্ছে তার আগের দিনে শেয়ারটির লাস্ট দাম কত ছিল।
৫। Volume: মোট কতগুলো শেয়ার কেনা বেচা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে ঐ দিনে ১১০৬১৫০ টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। যেহেতু এই কম্পানির লট সংখ্যা ৫০ টি । তাই মোট ১১০৬১৫০/৫০=২২১২৩ টি লট কেনাবেচা হয়েছে।
৬। Total trade: ঐ দিনের মোট ট্রেড সংখ্যা।
৭। Change: আজকের লাস্ট প্রাইস ও গতকালের লাস্ট প্রাইসের পার্থক্য(৩৩২.৪-৩৩০.৯=১.৫) ও তার পার্সেন্টেজ।
৮। 52 week's range: ঐ দিন থেকে ১ বছর আগের সময়ের মধ্যে ঐ শেয়ারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম।
৯। Market lot: ঐ কম্পানির মার্কেট লট। 
১০। এখান থেকে কম্পানির বিগত সময়ের শেয়ারের দাম ও ভলিউমের চার্ট দেখা যায়।

বিভিন্ন শেয়ারের ক্যাটাগরি বা শেয়ারের শ্রেণী বিভাগ



আমাদের বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে যে সকল শেয়ার রয়েছে তাদেরকে ৫ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।

A - যারা নিয়মিত AGM (Annual General Meeting) করে ও ১০% এর বেশি লভ্যাংশ প্রদান করে।
B -যারা নিয়মিত AGM (Annual General Meeting) করে কিন্তু ১০% এর কম লভ্যাংশ প্রদান করে।
G - বাজারে আসা নতুন কম্পানি কিন্তু এখনো কম্পানি চালু হয় নি।
N - বাজারে নতুন আসা কম্পানি।
Z - অনিয়মিত AGM ও লভ্যাংশ প্রদান করে না।

তাই শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই এটি দেখে নেয়া উচিত।

শেয়ার কেনার আগে যা যা দেখে নেয়া উচিত



শেয়ার কেনার আগে অবশ্যই ইনভেস্টরকে কিছু জিনিস দেখে বিবেচন আকরে শেয়ার কেনা উচিত। হুট করে না বুঝে শেয়ার কেনার কোন মানেই হয় না। তাতে হয়তোবা মাঝে মধ্যে লাভ হতে পারে কিন্তু লসের চান্সই বেশি।

প্রথমেই  আপনাকে দেখতে হবে শেয়ারটি কোন ক্যাটাগরির। চেস্টা করবেন A অথবা ভাল কম্পানি হলে N ক্যাটাগরির শেয়ার কিনতে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন A ক্যাটাগরির শেয়ার সবসময় ভাল নাও হতে পারে। ঐ বছর তাদের ব্যাবসা খারাপও যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত  দেখে নিন কম্পানির EPS ( Earning per share) কত? Eps যদি কম হয় তবে ঐ শেয়ার কেনা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যে কম্পানির শেয়ারের নিজস্ব কোন ইনকাম নেই সেই শেয়ারের দাম কিভাবে বাড়বে? আর যদিও ঐ শেয়ারের দাম বাড়তি থাকে তবে ধরে নিবেন নিশ্চয়ই কোথাও কোন সমস্যা আছে।
তৃতীয়ত  দেখে নিন ঐ শেয়ারের PE (Profit earning ratio) কত। যে শেয়ারের PE যত বেশি সেই শেয়ার তত অতি মূল্যায়িত। আমাদের মার্কেটে ২৫ এর চেয়ে বেশি PE কে ঝূকিপূর্ণ ধরা হয়।

তাই শেয়ার কেনার আগে অন্তত এই তিনটি বিষয় বিবেচনা করে শেয়ার কিনুন।

শেয়ার মার্কেটে EPS/ইপিএস বলতে কি বুঝায় এবং কিভাবে বাৎসরিক EPS/ইপিএস হিসেব করে?

EPS/ইপিএস কথার অর্থ হচ্ছে Earning per share বা শেয়ার প্রতি আয়। কোন কম্পানি একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ লাভ করে তাকে তাকে মার্কেটের মোট শেয়ারে ভাগ করে দিলে যা আসে তাই হল সহজ কথায় EPS/ইপিএস. ধরুন "ক" কম্পানির EPS/ইপিএস হচ্ছে ৩৪। এর অর্থ তাদের প্রতি শেয়ারে ৩৪ টাকা লাভ হয়েছে।



উপরের কম্পানিটি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন এদের প্রথম ৩ মাসে EPS ছিল ৫.০৬, এর পরের ৩+৩=৬ মাসে ৮.৫৫ এবং এর পরের ৩+৩+৩=৯ মাসে ১২.৬৯ । এখানে পুরা বছরের EPS টা এখনো আসে নি। তবুও আমরা ধারণা করে বের করতে পারি এই কম্পানির পুরো বছরের EPS কত হতে পারে। যেহেতু ৯ মাসে এর EPS ১২.৬৯ তাই ১২ মাসে হবে ১২.৬৯*(৪/৩)= ১৬.৯২।
অর্থ্যাৎ শেষের কোয়ার্টারে EPS আসবে ১৬.৯২-১২.৬৯=৪.২৩ । এটা একটা গড় হিসাব। কিন্তু দেখা যায় আসল হিসেবেও খুব বেশি হেরফের হয় না। যদি না কম্পানি খুব বেশি লাভ বা লস করে। তাই ৯ মাসের EPS জানলে খুব সহযেই আমরা টোটাল বছরেরটা বের করতে পারি যা শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রাইমারি মার্কেট আর সেকেন্ডারি মার্কেট কি?


বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে গেলে আপনি দুই ভাবে করতে পারেঃ-

এক প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে এবং
দুই  সেকেন্ডারি শেয়ারের মাধ্যমে।

       প্রাইমারি শেয়ারঃ-   বাজারে কোন কম্পানি প্রথম প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে প্রবেশ করে। অর্থাৎ নতুন কোন কম্পানিকে বাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে তাকে প্রথমে প্রাইমারি শেয়ার ছাড়তে হবে। শোনা যায় সবাই বলে প্রাইমারি শেয়ারে কোন লস নাই। সেকেন্ডারি শেয়ারে প্রচুর রিস্ক। এরকম কথা তারা কেন বলে আসুন জেনে নেই। প্রতিটি কম্পানির শেয়ারের একটা ফেস ভ্যালু থাকে। কম্পানি যখন তার শেয়ারটি মার্কেটে ছাড়তে চায় তখন সে ফেস ভ্যালুর সাথে প্রিমিয়াম যোগ করে একটি নির্দিষ্ট টাকায় শেয়ারটি অফার করে। এসইসি যদি অনুমোদন দেয় তবে তারা তাদের শেয়ার কেনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে। যাকে আমরা IPO/আইপিও বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফার বলে থাকি। ধরা যাক কোন কম্পানির ফেস ভ্যালু ১০ টাকা এবং তারা ৫ টাকা প্রিমিয়াম সহ শেয়ারের দাম নির্ধারণ করল ১৫ টাকা। এখন আপনি যদি ঐ শেয়ার IPO এর মাধ্যমে পেয়ে থাকেন তবে আপনার প্রতি শেয়ারে দাম পরে ১৫ টাকা। আপনি এখন ইচ্ছা করলে এই শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন। সাধারনত দেখা যায় প্রাইমারি শেয়ারের যে দাম তার তুলনায় সেকেন্ডারি মার্কেটে এর দাম বেশি হয়ে থাকে। আপনার শেয়ারটি যদি সেকেন্ডারি মার্কেটে ২৫ টাকায় ওপেন হয় তবে আপনি তখন বিক্রি করলে প্রতি শেয়ারে ১০ টাকা লাভ পেয়ে যাবেন। আপনি যদি মনে করেন এই কম্পানি সামনে আরো ভাল করবে তবে প্রাইমারিতে প্রাপ্ত শেয়ার আপনি অনেক দিন ধরেও রাখতে পারেন পরবর্তিতে বেসি দামে বিক্রির জন্য। আবার মনে করুন আপনি যে কম্পানির প্রাইমারি শেয়ার কিনতে চাচ্ছেন তার প্রিমিয়াম অনেক বেশি। তাহলে সেকেন্ডারি মার্কেটে আপনি যে দামে শেয়ার কিনেছেন তার তুলনায় দাম কমেও ওপেন হতে পারে। তাই প্রাইমারি শেয়ার মানেই লাভ না মনে করে কম্পানিটি কি দামে শেয়ার ছাড়ছে প্লাস কম্পানির আয় কেমন অর্থাৎ কম্পানিটি ভাল কিনা তা যাচাই করে কিনুন।

        সেকেন্ডারি শেয়ারঃ- প্রাইমারি শেয়ার যখন কেউ বিক্রি করে দেয় তখন তা সেকেন্ডারি শেয়ারে পরিনত হয়। সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে হলে আপনার শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে ব্যবসা করার জন্য ফান্ডামেন্টাল প্লাস টেকনিক্যাল এনালাইসিস সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। এ ধারনা অর্জন করতে পারলে শেয়ার ব্যবসায় আপনি ভাল লাভ করতে পারবেন। আর আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারে ব্যবসা করেন এবং একে পেশা বা বাড়তি ইনকামের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করতে চান তবে সেকেন্ডারি মার্কেট খুবই উত্তম যায়গা।
তবে একটা কথা বিশেষ ভাবে বলতে চাই কেউ যদি মনে করেন শেয়ার ব্যবসার মাধ্যমে রাতারাতি ধনী হয়ে যাবেন তাদের এ ব্যবসায় আসতে আমি নিষেধ করব। প্রতি ব্যবসাতেই লাভ লস থাকে এবং পরিশ্রমের দরকার। তাই যথেষ্ট মেধা ও বুদ্ধি খাটিয়ে ধীরেধীরে আপনি শেয়ার মার্কেটে অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল প্রফিট করতে পারবেন এ আশ্বাস আমি দিতে পারি।

সেক্সটিং



মনোবিদ অনুত্তমা মজুমদার বলছেন, “অনেক দিনের প্রেম, অনেক দিনের দাম্পত্য শরীরেও একটা একঘেয়েমি এনে দেয়। রোম্যান্স বা যৌন উত্তেজনা হারিয়ে যায়। ‘সেক্সটিং’ সেই বসন্তকে জ্বালিয়ে দেয়। আমার কাছে এমন অনেক ক্লায়েন্ট আসেন যারা বলেন, ও আমাকে আগের মতো আর ভালবাসে না। আসলে এটা ভালবাসার বিষয় নয়। কমিটেড রিলেশনে ভালবাসা বা কোনও সম্পর্কে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনতে, অনেক দিনের চেনা সম্পর্কেও সেক্সটিং-এর প্রবণতা এখন বাড়ছে।”

সেক্স আর টেক্সট মেসেজকে একযোগে নিজের পছন্দসই শব্দে, ছবিতে ভরিয়ে ইনবক্স থেকে মেসেজবক্স সাজিয়ে তোলার নেশায় ভিজে যাচ্ছে বাঙালির চেতন-অবচেতন। কোথাও কিছুর যেন অপেক্ষা নেই, ফাঁক নেই। সেক্সটিং পুরিয়ে দিচ্ছে মন ছোঁওয়া শরীরী সাধ। লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ, প্রেমে ব্যথা পেয়ে সিঙ্গল থাকার ফূর্তি, প্রেম নয় অথচ প্রেম সম্পর্কে জেরবার এই প্রজন্ম বেঁচে আছে সেক্সটিং-এর খুঁটি ধরে। আপাত ‘ভালগার’ শুনে গা রি-রি করলেও, নিজের মতো ভাল থাকার এই জগতে ক্ষণিকের আনন্দযাপন থেকে বিরত থাকাই যে দায়!
তবে ‘সেক্সটিং’ কোনও নতুন শব্দ নয়। টেক্সট মেসেজের সঙ্গে রগরগে ভাষা এবং নিজের বা অন্যের ছবি পাঠানোই হল সেক্সটিং-এর মোদ্দা গপ্প। মূলত ২১ শতকের শব্দ সেক্সটিং। ২০১২ সালে মেরিয়ান ওয়েবস্টার ডিকশনারিতে এই শব্দ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

সেক্সটিং এক্কেবারে নতুন শব্দ না হলেও যৌনতার ভাষা এখন বদলে গিয়েছে। তা এখন আর সুড়সুড়ির পর্যায়ে নেই। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের খোলা হাওয়ায় খুল্লামখুলা চুমু-র চমকের পর ‘সেক্সটিং’ শুনে মুখ লুকনোর দিন শেষ। ছেলেমেয়েরা উচ্ছন্নে গেল বলে বাবা-মায়েরা যদি কাঁদতে বসেন তো সমূহ বিপদ! সম্পর্ক এখন আলগা চাওয়া-পাওয়ার। এই চাওয়া-পাওয়াগুলো সামনে যখন মেটে না তখন যদি তা ‘সেক্সটিং-এর মাধ্যমে জোটে তা হলে মন্দ কী? মনোবিদরা বলছেন, অস্থির জীবনে স্বস্তি আনতে সেক্সটিং-এর জুড়ি নেই, এতে মন ভাল থাকে।

সেক্সটিং কেমন করে চলে?

এই আলোচনা শুরু হয় অপর প্রান্তের মানুষটি কী পোশাক পরে আছে, তাই দিয়ে! তার পরবর্তী ধাপে দুই প্রান্তের নানা শারীরিক চাহিদা ফুটে ওঠে সেক্সটিং-এ। চালাচালি হতে পারে নিজেদের একাধিক নগ্ন শরীরের ছবি বা পর্ন ছবি। সেক্সটিং কি তা হলে এক ধরনের পারভার্সন? জোর আপত্তি তুলেছে এই প্রজন্ম।

“আমার অনেক সেক্সটিং পার্টনার আছে। সবাই ক্লাসমেট। এমনিতে মেসেজ হতে হতেই তো সেশন শুরু হয়। ভীষণ রিল্যাক্স লাগে আফটার সাচ সেশন। এর মধ্যে পারভার্সনের কী আছে? এটা জাস্ট একটা ভাললাগা। তা হলে তো পর্নোগ্রাফি দেখাও পারভার্সন। আর দু’জনের যেখানে সমর্থন রয়েছে সেখানে সেক্সটিং ইজ ভেরি হেলদি।” জোরের সঙ্গে বললেন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী অণ্বেষা।

এই প্রসঙ্গে অবশ্য সেক্সটিং নিয়ে আর একটা প্রশ্নও ওঠে! কারা এতে বেশি নিমগ্ন থাকে? মেয়েরা না ছেলেরা?
এখানে মেয়েরাই হাত তুলে নিজের অস্তিত্ব জানাচ্ছে। কাজের জন্য কথায় কথায় বিদেশে যাওয়া এই প্রজন্ম একে অপরকে কাছে পেতে, স্কাইপে, হোয়াটস অ্যাপে, নানা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সেক্সটিং’-এর মাধ্যমে নিজেদের চাহিদাকে উজাড় করে দিচ্ছেন। “আমার স্বামী থাকেন মিশিগানে। আমি কলকাতায় চাকরি করি। চাকরি ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা নিয়মিত স্কাইপে বা টেক্সট মেসেজে শরীর দেওয়া-নেওয়ার আনন্দটুকু মিটিয়ে নিই। আমি এতেই ভাল থাকি। আমার স্বামীর থেকে আমিই বেশি অপেক্ষা করে থাকি ভোরের জন্য, ওটাই আমাদের সময়। কখনও ও রাজি না থাকলে আমি নিজেই আমার পোশাক বর্ণনা দিয়ে ওকে রাজি করাই। সুখটুকু খুঁজে নিতে ক্ষতি কী?” কফিতে চুমুক দিয়ে মুচকি হেসে জানালেন কলকাতার এক নাম করা হাসপাতালের পদস্থ কর্মী লোপামুদ্রা সরকার।

কলেজ জীবনে পাঁচ বছরের সম্পর্কে ধাক্কা খেয়েছিলেন স্বাতী দত্ত। পুরোদস্তুর আবেগপ্রবণ স্বাতী ডিপ্রেশনে চলে যান। ধাক্কাটা এমনই লাগে যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে গিয়ে তিনি একের চেয়ে অধিক পুরুষের অ্যাটেনশন দাবি করে বসেন। বর্তমানে স্বাতীর ছ’জন ‘সেক্সটিং’ পার্টনার। কোনও কমিটমেন্ট বা সরাসরি যোগাযোগ না থাকায় স্বাতীর পক্ষে এটা চালানো সম্ভব হচ্ছে বলে জানালেন মনোবিদ নীলাঞ্জনা সান্যাল। স্বাতী তাঁরই ক্লায়েন্ট। ‘সেক্সটিং’ কিছুটা ক্ষতিও করছে বলে মানছেন তিনি।

মনোবিদ রঞ্জিতা বিশ্বাসের মতে, সেক্সটিং অন্য অনেক টার্মের মতোই একদম এই সময়ের একটা শব্দ। সেখানে ছবি শেয়ারিং বা সেক্সুয়াল কথাবার্তার মাধ্যমে একটি ছেলে বা মেয়ে সাময়িক যৌন আনন্দ খুঁজে নেয়। কিন্তু এতেই তো শেষ নয়। শারীরিক সম্পর্কের জন্য যখন আর সে ভাবে অপেক্ষা করতে হয় না এই প্রজন্মকে, সেখানে কেন সেক্সটিং? ভীষণ নবিশ মনে হয় না? “আসলে আমার কাছে কাউন্সেলিং-এ আসা ছেলেমেয়েদের দেখে মনে হয়েছে, এরা ওপেন স্মার্ট হলেও অন্যের সামনে নিজেকে খুলে ধরতে সময় নেয়। সেক্সটিং-এর ভারচুয়াল গ্যাপ নিজেকে প্রকাশ করতে সাহায্য করে। আবার অনেকে জানিয়েছে সেক্সটিং-এ যৌন ক্ষিদে মিটে যায়, তাই আর শারীরিক সম্পর্কের দিকে তারা উৎসাহ পায় না।” বললেন রঞ্জিতাদেবী।

মনোবিদ অনুত্তমা জানালেন আরও ভয়ঙ্কর দিকের কথা! তাঁর মতে, এই প্রজন্মের বহু ছেলেমেয়ে টাকার জন্য সেক্সটিং করে থাকে। স্কুল বা কলেজের পকেটমানিতে মদ বা আরও কোনও নেশার খিদে তো মেটে না, অনেক সময় সেটা পূরণের জন্য বা নিছকই টাকার লোভে ছেলেমেয়েরা বয়সে অনেকটা বড় কারও সঙ্গে ‘সেক্সটিং’ করতে আরম্ভ করে, যা থেকে বেরিয়েও আসতে পারে না। এটা কিন্তু বেশ চিন্তার। আর অপরাধের দিকটা? প্রেমিকার নগ্ন ছবি বাজারে বেচার জঘন্য মানসিকতা? অপর দিকের মানুষটি আদতে কেমন, তা-ও তো আপনি জানেন না। তার কাছে চলে যাওয়া কয়েকটা সুন্দর মুহূর্ত পরে আত্মহত্যার কারণ হবে না তো?

শুধু সেক্সটিং করার আগে আরও এক বার ভাবুন, শরীর শরীর তোমার মন নাই!

(সংগৃহীত)

শেয়ার বাজারের ভিক্ষাবৃত্তি এবং প্রতারণা

                                <<<<<<<সাবধান>>>>>>>সাবধান>>>>>>>সাবধান>>>>>>>





উপরুক্ত ADD ME অথবা friend request ভিক্ষুক দের চিনে রাখুন ।শেয়ার বাজারে ও ADD ME ভিক্ষুক দের আগমনে বিনিয়োগকারীরা আজ ত্যাক্ত বিরক্ত। ADD ME ভিক্ষুকরা যতই প্রলভন দেখাক তাদের থেকে সাবধান।
এতো সহজেই যদি শেয়ার ব্যাবসায় থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা যেত তবে বড় বড় প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাংকসমূহ মাসিক লক্ষ টাকা বেতনে "শেয়ার বাজার এনালাইজার" নিয়োগ দিত না ।

বিঃদ্রঃ - "আপনার friend request আদায় করে ফেসবুক বন্ধুর সংখ্যা বাড়ানোই ADD ME অথবা friend request ভিক্ষুক দের একমাত্র উদ্দেশ্য । আপনার বিনিয়োগ নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথ্যা নেই । আসলে "শেয়ার বাজার" সমন্ধে তাদের জ্ঞান খুব একটা নেই বললেই চলে ।"

"!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!ঝড়ে বক ১ বারই মরে !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!"

"MAKE DECISION BY OURSELVES AND BE SAFE."


এখন আপনাদের একটা গল্প শুনাই দুঃখিত শুনানোর সিস্টেম খুঁজে পাচ্ছি না লিখে দিলাম । যদিও গল্পটা কপি করা কিন্তু অসাধারনঃ-

Z নামের একটি খারাপ মৌলভিত্তির স্বল্প মূলধনি কোম্পানি, যার মার্কেট রেইট হলো ১৫ টাকা এবং পাবলিক শেয়ার হলো ৩০ লক্ষ । যে শেয়ারটি ৫০ জন পেইড মেম্বারকে কিনতে বললে টানা ১০ দিন হল্ট হয়ে থাকবে, কিন্তু পেইড মেম্বারদের পুঁজির ৫০% কেনাও শেষ হবে না !!! কারণ তাঁদের আইটেমগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০০০০ ভলিয়ামে লেনদেন হয় । আর এই শেয়ারগুলোই ফেসবুকের অধিকাংশ গ্রুপ ও পেইজের এডমিনরা তাদের মেম্বারদের জন্য সবসময় সিলেক্ট করে থাকে । তারা এই আইটেমগুলো প্রথমে তাদের ২৫% পেইড মেম্বারদের মেসেজ করে দিয়ে অথবা ফোন করে বলে যে, আগামি ১৫ দিনের ভেতরে এই শেয়ারটা ১০০% এর অধিক বাড়বে অর্থাৎ ৩০ টাকায় যাবে । আপনারা আগামীকাল থেকে এই শেয়ারটি তারাতারি করে বাই করুন । প্রথম দিন তাদের এই ২৫% পেইড মেম্বারদেরকে এই শেয়ারটি কিনতে ঝাঁপিয়ে পরে । আর এই পেইড মেম্বেররা ঝাঁপিয়ে পরার কারনে লেনদেন শুরু হওয়ার প্রথম ১৫ মিনিটের ভেতরে শেয়ারটি সর্বোচ্চ ৩০০০০ ভলিয়ামে লেনদেন হবার পর হল্টেড হয়ে যায় । শুরু হয় তাদের চাপাবাজির কাহিনি । তারা সেই দিন তাদের মেম্বারদের উদ্দেশ্যে স্ট্যাটাস দিয়ে বলে যে, আমরা যে আইটেম দেই সেই আইটেম সবাই কিনতে পারে না, হল্টেড হয়ে যায় হা হা হা। গতকাল ব্যস্ততার জন্য সবাইকে আইটেম দিতে পারিনাই আজ সবাইকে আইটেম দেবো । প্রথম দিন যাদেরকে আইটেম দেয় তারা আইটেম কিনতে না পেরে মেসেজ করলে বলে আগামীকাল লেনদেন শুরু হওয়া মাত্র তারাতারি করে কিনে নিবেন । দ্বিতীয় দিন তারা তাদের আরও ২৫% মেম্বারদেরকে আইটেম দিয়ে বলে যে, আগামীকাল আপনারা লেনদেন শুরু হওয়া মাত্রই এই শেয়ারটি কিনে নিবেন । দ্বিতীয় দিন প্রথম দিনের ২৫% মেম্বার ও দ্বিতীয় দিনের ২৫% মেম্বার একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়লে শেয়ারটি লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটের ভেতরে আবারো ভলিয়ামে ৫০০০০ শেয়ার লেনদেন হতেই হল্টেড হয়ে যায় । সেই দিন তারা আবার তাদের গ্রুপ ও আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে বলে,আমাদের আইটেম সবাই কিনতে পারেনা । যারা আজ আইটেমটি কিনতে পারেননি তারা আগামীকাল আইটেমটি কিনে নিবেন । আমার এতো পেইড মেম্বার যে,সবাইকে একসাথে আইটেম দেয়া সম্ভব হয় না । যারা এখন পর্যন্ত আইটেম পাননি তারা আজকের ভেতরেই আইটেম পেয়ে যাবেন । এই ভাবে তারা একটি আইটেম ৪ দিনে ৪ টি স্টেপে দিয়ে কৌশলে ৭/৮ দিন পেইড মেম্বারদেরকে দিয়ে হল্টেড করে রাখে । আর তাদের ফেইক আইডি দিয়ে তারা নিজেরাই নিজেদের স্ট্যাটাসে কমেন্ট গুণগান গাইতে শুরু করে । যাতে করে তাদের গুণগান দেখে অন্য সাধারণ মেম্বাররাও তাদের প্রতি উৎসাহিত হয় ।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতারকরা পেইড মেম্বার দিয়ে একটি শেয়ার ৭/৮ দিন হল্টেড করে ৭০% বৃদ্ধি করায় । কিন্তু যখন এই খারপ আয়ের কোম্পানির দর বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি বিএসইসির নজরে আসে, তখন তারা এই কোম্পানিটির দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চায় । পরের দিন থেকে আর এই শেয়ারটির বাইয়ার খুঁজে পাওয়া যায় না । তখন তাদের প্রায় ৭৫% পেইড মেম্বার যারা শেষ পর্যায়ে এই শেয়ারটি কিনে । তাদেরকে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় । আর প্রথম পর্যায়ে শেয়ারটি যে মেম্বাররা কিনেন তারা কিছুটা লাভ করতে পাড়েন । অর্থাৎ ২৫% মেম্বার লাভ করেন আর ৭৫% মেম্বার আইটেমটি কিনে ক্ষতিগ্রস্থ হন । আর তারা সব মেম্বারদের কাছ থেকে আইটেম দেবার পূর্বেই আইটেমের জন্য এডভান্স টাকা নিয়ে নেয় ! আর যারা আইটেমটি থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হন তাদেরকে পরবর্তীতে আইটেম দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে দেবার আশ্বাস দেয়া হয় । আর পরবর্তীতে তারা একই ধরণের আরেকটি আইটেম সিলেক্ট করে । পূর্বের আইটেমে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হন তাদেরকে প্রথমে এই আইটেম দেয় । আর যারা পূর্বে লাভ করেছেন তাদেরকে শেষে আইটেম দেয় । এতে করে যারা প্রথম আইটেমে ক্ষতিগ্রস্থ হন তারা লস পুষিয়ে নেন । আর যারা লাভ করেছিলেন তারা ক্ষতিগ্রস্থ হন । এই ভাবে লাভ ক্ষতির দোলাচলে দোলতে দোলতে বৎসর শেষে তাদের পেইড মেম্বারদের লাভের পরিমান হয় ০০.০০% । অর্থাৎ তারা গুরিয়ে ফিরিয়ে পেইড মেম্বারদের পূঁজিই পেইড মেম্বারদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়। আর তারা প্রত্যেক আইটেম থেকে পেইড মেম্বারদেরকে বাঁশ দিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বৎসর শেষে লাভের পাহাড় গড়ে !! অর্থাৎ তারা তাদের মেম্বারদেরকে বোকা বানিয়ে কৈয়ের তেল দিয়ে কৈ ভাঁজে । আর এই প্রতারকদের জন্যই বাজার তার স্বাভাবিক গতি হারায় !!! তাই সমস্ত বিনিয়োগকারীদের প্রতি একটি বিশেষ অনুরুধ রইলো যে, আপনারা এই সমস্ত প্রতারকের কাছ থেকে সাবধান থাকুন । আর নিজেরা বাজার নিয়ে প্রতিদিন স্টাডি করুন । নিজেদেরকে সচেতন করে তুলুন । তারপর শেয়ারবাজারে পূঁজি বিনিয়োগ করুন ।

বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকারীঃ-  তোফায়েল আহমেদ

বৃহস্পতিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৫

বোধ

রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস । সংযমের মাস । কিন্তু আমরা কতটুকু সংযম পালন করি তার একটা চিত্র এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্রে ("বোধ") অসাধারণ ভাবে উঠে এসেছে । একটা শিশুর খাদ্য সংস্থানের জন্য যে যুদ্ধ সেটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । এরকম হাজারো লক্ষ শিশু আমাদের সমাজে বিদ্যমান কজনের খবরই বা আমরা রাখি ?



মঙ্গলবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৫

চটি পেজ

১৭ বছরের ফেসবুক ব্যবহারকারী কিশোর শব্দ একদিকে চটি পেইজে লাইক দেয় আবার অন্যদিকে বিভিন্ন ধর্মীয় পেইজে লাইক দেয় । আবার কোন এক সময় চটি পেইজের বিপক্ষে তৈরি করা পেইজেও লাইক দেয় । আমাদের চারপাশে শব্দের মতো এরকম অনেক কিশোর এক প্রকার মিশ্রিত চিন্তা-চেতনা নিয়ে দিন দিন বড় হচ্ছে । যেটা একসময় গিয়ে পরিণত হচ্ছে ভয়ংকর মৌলবাদী মতাদর্শে।

বিঃদ্রঃ "চটি পেইজ"নামক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কাহিনী সংক্ষেপ"

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্রটি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ।




The DSLR Show

আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আপনি না হেসে পারবেন না ।