শিল্পী সংগ্রামী সত্যেন সেনের দীর্ঘ চিন্তার ফসল উদীচী। তিনি খুব সচেতনভাবেই উদীচী নামটি নির্বাচন করেছিলেন। উদীচী অর্থ উত্তর দিক বা ধ্রুবতারার দিক। দিক হারা নাবিকেরা যেমন উত্তর দিকে ধ্রুবতারার অবস্থান দেখে তাদের নিজ নিজ গন্তব্য স্থির করেন- তেমনি এদেশের সংস্কৃতি তথা গণমানুষের সংস্কৃতি, সাংস্কৃতিক আন্দোলন সবকিছুই উদীচীকে দেখে তার চলার পথ চিনতে পারবে। এছাড়া বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় আবাসের নাম উদীচী, নামকরণের ক্ষেত্রে এটিও বিবেচিত হলো। উদীচী দেশ ও জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাসমূহকে উপলব্ধি করবে, এ সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করবে, তাদেরকে এই দুঃখ কষ্টের কারণসমূহ মোকাবেলা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা যোগাবে এবং আবার তাদেরকে নতুনতর সংগ্রামের জন্য তৈরি করবে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে। উদীচী সমাজ সচেতন, সমাজ পরিবর্তনের নিয়মসমূহ ও কারণসমূহ সম্পর্কে সচেতন। উদীচী কর্মীরা শুধু নিজেরাই সচেতন হওয়া নয়, জনগণকে সচেতন করাকেও কর্তব্য মনে করে। এসব কারণেই উদীচী অপরাপর সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে আলাদা।
উদীচী’র জন্মই হয়েছিল গণসঙ্গীত দিয়ে। সহজভাবে গণমানুষের নিকট যাওয়া যায় একমাত্র গণসঙ্গীতের মাধ্যমেই। তাই এদেশের গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার একাগ্র শক্তি, আদর্শ ও আত্মত্যাগের মহান ঐতিহ্যের গর্বিত বাহক উদীচী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এদেশের মেহনতি মানুষের বন্ধু, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রাণপুরুষ সত্যেন সেনের সাবলীল উচ্চারণ-
“মানুষের কাছে পেয়েছি যে বাণী
তাই দিয়ে রচি গান
মানুষের লাগি ঢেলে দিয়ে যাব
মানুষের দেয়া প্রাণ।”
উদীচী’র জন্মই হয়েছিল গণসঙ্গীত দিয়ে। সহজভাবে গণমানুষের নিকট যাওয়া যায় একমাত্র গণসঙ্গীতের মাধ্যমেই। তাই এদেশের গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার একাগ্র শক্তি, আদর্শ ও আত্মত্যাগের মহান ঐতিহ্যের গর্বিত বাহক উদীচী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এদেশের মেহনতি মানুষের বন্ধু, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রাণপুরুষ সত্যেন সেনের সাবলীল উচ্চারণ-
“মানুষের কাছে পেয়েছি যে বাণী
তাই দিয়ে রচি গান
মানুষের লাগি ঢেলে দিয়ে যাব
মানুষের দেয়া প্রাণ।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন